সংশ্লিষ্টরা জানায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। এ অবস্থায় নতুন আক্রান্তদেরকে বাড়িতে আইসোলেশন করে থাকার কথা বলছে শাল্লা উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। যদিও আলাদা হয়ে থাকার মতো অনেকেরই যথাযথ পরিবেশ নেই। রোগী বাড়তে থাকায় এই বিপাকে পরার কথাও জানিয়েছে শাল্লা উপজেলা প্রশাসন।
তবে নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে উপর মহলে অনেক লেখালেখি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, শাল্লায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ২২ মে। এরপর থেকে শনিবার পর্যন্ত এই উপজেলায় মোট ৩২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ জন। আক্রান্ত ২০ জনের মধ্য ১০ জন শাল্লা উপজেলা হাসপাতালের করোনা আইশোলেসন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। হাসপাতালে সিট খালি না থাকায় বাকি ১০ জন নিজ বাড়িতে আইশোলেসনে আছেন। তবে বাড়িতে থাকা রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশনা যথাযথভাবে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রোগীদের অভিযোগ, কিভাবে আইসোলেশন মেন্টেইন করতে হবে বা কি কি করণীয়, কিছুই তাদের বুঝিয়ে বলা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগী বলেন, ‘আমাদের কোনো খবর রাখা হচ্ছে না, কিভাবে চলতে হবে, কি করবো? কিছুই বলা হচ্ছে না, দেখভাল নেই বললেই চলে, এর চেয়ে হাসপাতালে থাকলে অন্ততো চিকিৎসকরা কিছু পরামর্শ দিতেন।’
আইসোলেশন শয্যা বাড়ানোর উদ্যোগ থাকলেও প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, 'আমাদের হাসপাতালে ৫টি আইসোলেশন সিট থেকে বাড়িয়ে ১০টি করা হয়েছে। হাসপাতালে জায়গা না থাকায় তা আর বাড়ানো সম্ভব না।'
এদিকে, স্থানীয় শাহীদ আলী স্কুলে আইসোলেশন ওয়ার্ড করার চিন্তা থাকলেও লোকবলের অভাবে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন বলেন, 'আমরা আরও ৫টি শয্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি, এমনিতেই শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুরবস্থার কথা বলে শেষ করা যাবে না, আমি আইসোলেশন শয্যা আরও বাড়াতে উপর মহলে বার বার জানাচ্ছি, একাধিকবার লিখেছি, প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে, কিন্তু তাদেরকে সেবা দেয়ার মতো পরিবেশ নেই, রোগীদের জন্য আরও সেবা বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আমরা আলোচনা করছি।’